Mukesh Ambani: ভারতে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিসের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। এই মুহূর্তে ভারতের সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। জিও, ভায়কম-১৮ এর মতো টিভি চ্যানেল গ্রুপ সবকিছুই রয়েছে তার হাতের মুঠোয়। এছাড়াও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ক্রিকেট দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মালিক হিসেবেও বেশ সুপরিচিত তিনি।
আম্বানি পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য অনেক সময় খবরের শিরোনামে দেখতে পাওয়া যায় তাঁদের। পরিবারের প্রত্যেকের লাইফস্টাইল নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের অন্ত নেই কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এই মুকেশ আম্বানি। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রি-ওয়েডিং।
Mukesh Ambani AI News
তবে এইবার সকলকে চমকে দিয়ে ভারতে AI পরিষেবা লঞ্চ করতে চলেছেন মুকেশ আম্বানি। মার্চ মাসেই রিলায়েন্সের তরফে এই মডেলটি লঞ্চ করা হবে। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে এই পদক্ষেপ যে সাড়া ফেলতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। গত জুন মাসে ওপেনএআই-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যান দাবি করেছিলেন, ভারতের মতো দেশের পক্ষে ChatGPT-এর মতো AI সফ্টওয়্যার তৈরি করা অসম্ভব। তাঁর সেই দাবিকে যে কার্যত নস্যাৎ করেছেন আম্বানি তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। আম্বানির এই কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অবাক হয়েছেন AI কোম্পানিগুলি। খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে আসতে চলেছে AI মডেল ‘হনুমান। এরপর চ্যাটজিপিটি যে বেশ কড়া টক্করের মধ্যে পড়তে চলেছে তা সকলের কাছেই বেশ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
Mukesh Ambani AI News Information
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই AI হনুমান মডেলটি লঞ্চ করার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসেই চালুভবে ভারতের নিজস্ব এই চ্যাটবট ভারতজিপিটি। যার নাম হনুমান। রিপোর্ট অনুসারে, দীর্ঘদিন ধর রিলায়েন্স জিও ইনফোকম লিমিটেড আরও ৪ টি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে এই ‘হনুমান’ তৈরি করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত জিপিটি গ্রুপ’।
রিলায়েন্সের বিশেষ AI মডেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। হনুমান এআই মডেল 11টি ভাষায় বার্তালাপ করতে সক্ষম। এমনকি কঠিন কোড লেখার ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারীদের সাহায্য করবে এটি। বিশেষত চারটি সেক্টরের দিকে লক্ষ্য রেখে তৈরি এই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রশাসন, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও আর্থিক সেবা। এই মডেলটি সফল হলে AI প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত যে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য।