এখন ছোটো থেকে বড়ো প্রতিটি মানুষের হাতেই আছে কমপক্ষে একটি করে স্মার্টফোন (Smartphone)। আর এই স্মার্টফোনেই লুকিয়ে আছে গোটা জগৎ অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া (Social media)। বর্তমান সময়ে প্রায় সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। এই যুগটাকে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ বললেও ভুল কিছু হবে না।
এখন সবকিছুই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়া যায়। যেমন- সাজ সরঞ্জামের জিনিস, পড়াশোনার সামগ্রী, নিত্যনৈমিত্তিক ব্যবহারের সব জিনিস, খাবার দাবার ইত্যাদি। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে মূলত ইউটিউব, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক কেই বোঝানো হয়। নিত্যদিন এত পরিমাণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অলস সময় কাটান যে কোনো না কোনো ভিডিও, ছবি, খবর প্রতিদিন ভাইরাল হতেই থাকে। বিশেষ করে তা যদি হয় পশু, পাখির।
বর্তমান এই আধুনিকতার যুগে মানুষ ক্রমশ প্রকৃতির থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। এই নগরায়নের কারণে মানুষ সভ্য তো হচ্ছে কিন্তু তার পাশাপাশি শিকার হচ্ছে হীনমন্যতা ও একাকীত্বের। বিভিন্ন থেরাপির সময় তাই এখন পশু, পাখিদের রাখা হয়। এই অবলা প্রাণী কিছু না বলেও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীবের মন ভালো করে দিতে পারে। এখন অনেকেই তাই পশু ও পাখি পুষতে চায়।
সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। টিয়া, কাকাতুয়া, ময়না এই সব ধরনের পাখিরা সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে খুব সহজেই মানুষের কথা নকল করতে পারে। এমন কি সুর করে গানও করতে পারে। তবে এবার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা গেছে একটি সবুজ ও একটি সাদা রঙের টিয়া পাখি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে। প্রথমে তারা একটি গাছের ডালে বসে গল্প করলেও পরে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। তাদের আওয়াজ বোঝা না গেলেও দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে তারা ঝগড়া করছে।
“মিলন মিঠু” নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছিল। যখন এই টিয়া পাখি দুটির ঝগড়া আরও বাড়তে থাকে তখন তাদের মালিকেরা মাঝখানে হস্তক্ষেপ করেন। কিন্তু একজনের মালিক যদি অপরজনকে আদর করতে যায় তাতে প্রথমজন রেগে যাচ্ছিল। এ ধরনের ভিডিও দেখে বেশ মজাই পেয়েছেন নেট নাগরিকেরা।