মোটামুটি প্রতিটা বাঙালি বাড়িতেই সপ্তাহে অন্তত একদিন নিরামিষ খাওয়ার নিয়ম আছে। এই নিয়ম বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। সেদিন স্বাভাবিকভাবেই রান্নায় পেঁয়াজ, রসুন দেওয়া যায় না। আবার মাছ, মাংস বাড়িতে ঢোকে না। ফলে অনেকেরই সেদিন খেতে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু নিরামিষ রান্না ভালোভাবে করলে মাছ, মাংসের প্রয়োজন হয় না। আজ আমরা আপনাদের যেই রেসিপির কথা বলব তা আপনারা পেঁয়াজ, রসুনসহ আবার পেঁয়াজ রসুন বাদ দিয়েও করতে পারেন।
উপকরণ :- কাঁচকলা বা বীজ কলার মোচা, সাদা তেল, ঘি, ছোলার ডাল বাটা, সরষের তেল, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, পেঁয়াজ, আলু ডুমো ডুমো করে কাটা, রসুন ও আদা বাটার পেস্ট, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুড়ো, নুন।
প্রণালী :- মোচা কেটে নিয়ে হলুদ মেশানো জলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর মোচা দিয়ে কুকারে দুটো সিটি দিয়ে নিন। এরপর একটি কড়াইতে সাদা তেল গরম করতে দিন। তাতে দিন ঘি ও এক কাপ ছোলার ডাল বাটা। এটি ৭ মিনিট মতন নাড়াচাড়া করতে হবে। এই মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে কড়াইতে সর্ষের তেল দেবেন। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে দেবেন একটা দারচিনি, দুটো এলাচ, তেজপাতা ও একটি শুকনো লঙ্কার ফোড়ন।
এরপর চাইলে আপনি তাতে পেঁয়াজ কেটে দিতে পারেন। এরপর এতে দিয়ে দেবেন ডুমো ডুমো করে কেটে রাখা আলু। বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নেওয়ার পর রসুন ও আদা বাটা দেবেন। যদি নিরামিষ করতে চান তাহলে শুধুমাত্র আদা বাটা দিলেই হবে। এরপর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে।
এরপর তাতে দেবেন ধনে গুড়ো, জিরা গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুড়ো, হলুদ গুঁড়ো। কিছুক্ষণ কষানোর পর তাতে টমেটো কুচি করে দিয়ে দেবেন। এরপর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে গরম জল দিয়ে দিন। এরপর ৭ মিনিট মতন রান্না করলেই তৈরি হয়ে যাবে “ছোলার ডালের মোচার ঘন্ট”।