Post Office Scheme: ভারতীয় ডাক বিভাগ মাঝে মধ্যেই গ্রাহকদের সুবিধার্থে এক বা একধিক স্কিম নিয়ে আসে।সম্প্রতি এরকমই আরও একটি স্কিম নিয়ে আসা হয়েছে পোস্ট অফিসের তরফে যার নাম ‘রেকারিং ডিপোজিট স্কিম’। এই নয়া স্কিম বা প্রকল্প ভারতীয় ডাক বিভাগের একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প।ভারতীয় ডাক বিভাগের এই প্রকল্পে স্বল্প পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হলেও পরিবর্তে রিটার্ন বা লাভ অনেক বেশি পাওয়া যাবে,এমনটাই জানা যাচ্ছে।
পোস্ট অফিসের (Post Office Scheme) তরফ থেকে জানানো হয়েছে,রেকারিং ডিপোজিট স্কিম’-এ এক ন্যূনতম মূল্যের অর্থ বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, তবে সাধারণ মানুষ অর্থাৎ কোনো গ্রাহক চাইলে নিজের ইচ্ছেমতো যত খুশি বিনিয়োগ করতে পারেন।এই প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য কোনো ঊর্ধ্বসীমা ডাক বিভাগের তরফ থেকে জারি করা হয়নি। জানানো হয়েছে,এই স্কিমে অন্তত মাসিক ১০০ টাকা বিনিয়োগ করতেই হবে। এই স্কিমে লাভজনক সুদের হার রয়েছে। এছাড়াও, এই মুহুর্তের সব থেকে বড়ো দুশ্চিন্তা কর ছাড়ের সুবিধাও লাভ করা যাবে।
![Post Office Scheme: মধ্যবিত্তদের জন্য পোস্ট অফিস নিয়ে এলো এক দুর্দান্ত স্কিম, মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিয়োগে পেয়ে যান ১৬ লাখ টাকা !! 2 Post Office](https://www.bengalitrend.com/wp-content/uploads/2023/01/post-office.jpg)
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,পোস্ট অফিসের এই নয়া ইনভেস্টমেন্ট স্কিমে (Post Office Scheme) বিনিয়োগ নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য করতে হবে,এই ইনভেস্টমেন্ট স্কিমের সময়সীমা ৫ বছর, এর থেকে কম সময়ের জন্য এই স্কিমে বিনিয়োগ করা যাবে না বলেই জানা গিয়েছে। প্রত্যেক ৩ মাস অন্তর জমা থাকা টাকার ওপর ডাকঘরের গ্রাহকেরা সুদ লাভ করবেন। চক্রবৃদ্ধি হারে এই সুদের টাকা জমা হবে।
এই ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে গ্রাহকেরা ৫.৮% হারে সুদ পাবেন বলেও জানা গিয়েছে।পোস্ট অফিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে,যদি কোনো গ্রাহক এই প্রকল্পে মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন এবং যদি ১০ বছরের সময়সীমার জন্য এই অ্যাকাউন্ট চালু থাকে তবে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পর গ্রাহক ১৬ লাখ টাকারও বেশি অর্থ লাভ করবেন।
‘রেকারিং ডিপোজিট স্কিম’-এ কম বিনিয়োগ করে বিপুল অঙ্কের অর্থ সঞ্চয় সহজেই করা সম্ভব বলে ধারনা করা হচ্ছে। ভারতবর্ষের যে কোনো স্থানের নাগরিক ডাকঘরের এই প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, এমনকি ২-৩ জন একসাথেও যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করতে পারবেন।ছোটরাও তাদের অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবে।সেক্ষেত্রে,অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে ১০ বছর পার হয়ে গেলে তারা নিজের নামেই এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবে।