এভারগ্রিন সুন্দরী অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষীত (Madhuri Dikshit) 15 ই মে 1967 সালে জন্মগ্রহণ করেন। নিজের কেরিয়ারে তিনি 70 টি-র বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে 6 টি ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড। নব্বইয়ের দশকে তিনি দশ থেকে বেশি পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী ছিলেন। 2008 সালে তিনি ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। তাঁর অভিনীত কয়েকটি সিনেমা হল – “দিল” (1990), “বেটা” (1992), “হাম আপকে হ্যায় কন” (1994), “দিল তো পাগল হ্যায়” (1997), “রাম লক্ষ্মণ” (1989), “ত্রিদেব” (1989) ইত্যাদি।
সঞ্জয় লীলা বনসালি (Sanjay Leela Bansali) -র অন্যতম জনপ্রিয় ও সাফল্যমণ্ডিত সিনেমা হল “দেবদাস”। শরৎচন্দ্রের অন্যতম চর্চিত উপন্যাস “দেবদাস” এর কাহিনি অবলম্বনে বিভিন্ন ভাষায়, বিভিন্ন অভিনেতা অভিনেত্রীরা কাজ করেছেন। তবে সবথেকে বেশি সাফল্য পেয়েছে শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও মাধুরী দিক্ষীত অভিনীত হিন্দি ভাষায় মুক্তি প্রাপ্ত ফিল্ম “দেবদাস”। তৎকালীন সময়ে সিনেমাটির বাজেট ছিল 50 কোটি টাকা।
তবে শোনা যায় সেই সময় আর্থিক দিক দিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল এই সিনেমাটির সাথে যুক্ত প্রত্যেককেই। কারণ উক্ত ফিল্মের প্রযোজক ভারত শাহ -এর বিরুদ্ধে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। ফলে তাঁকে পুলিশী হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। বারবার থানা আর হাসপাতালে যাতায়াত করতে হত তাঁকে। এমনকি অসুস্থতার কারণে অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ফলে ফিল্মের সাথে যুক্ত থাকা কাউকেই পারিশ্রমিক দেওয়া সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে।
সেই সময় শাহরুখ খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন সহ উক্ত ফিল্মটির সাথে যুক্ত অন্যান্য সকল ব্যক্তি পারিশ্রমিক ছাড়াই কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু একমাত্র রাজি ছিলেন না মাধুরী দিক্ষীত। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে মাধুরী ঘন্টার পর ঘন্টা নিজের ভ্যানিটি ভ্যানের দরজা আটকিয়ে বসেছিলেন। বাধ্য হয়ে সঞ্জয় লীলা বনসালি টাকা জোগাড় করে তাঁকে পারিশ্রমিক দেন। কিন্তু আজও জানা যায়নি অতগুলো টাকা তিনি কোথা থেকে জোগাড় করেছিলেন। তবে শোনা যায় সেই সময় শাহরুখ খান তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সঞ্জয় লীলা বনসালি কোনোদিন মাধুরী দিক্ষীতের সাথে কাজ করেননি।