টলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন যীশু সেনগুপ্ত। তিনি ১৯ বছর বয়সে অভিনয় জগতে পা রাখেন। তিনি ১৯৯৯ সালে ‘মহাপ্রভু’ ধারাবিকের মধ্যে দিয়ে অভিনয় জগতে পথ চলা শুরু করেছিলেন। তিনি তার অভিনয় দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। তিনি তার হাত খরচের কারণে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি ছোট থেকে ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসতেন। তাকে একসময় বেঙ্গল টাইগার্সের হয়ে ক্রিকেট লিগে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা গিয়েছিল। বর্তমানে তাকে অনেক ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। যীশু খেলা ছাড়াও গান বাজনা করতে ভালো বাসতেন।
প্রথম দিকে তার অভিনয় জগতে পথ চলা অতটা সুবিধার ছিল না। তিনি ‘মহাপ্রভু’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করলেও পরের কিছু ছবি তার বক্স অফিসে ফ্লপ খেয়েছিল। তারপর থেকে অনেকেই তাকে কাজ দিতে চাইতেন না। কিন্তু তার শর্তেও তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি অনেক লড়াই করে গিয়েছেন অভিনয় জগতে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে। তারপর তিনি ২০১০ সালে ‘আবহমান’, ‘নৌকাডুবি’ প্রভৃতি জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত নানা মুভিতে কাজ করে মানুষের মনে আবার তার জায়গা করে নেন।
২০১২ সালে যীশু ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে ‘চিত্রাঙ্গদা দ্যা ক্রাউনিং উইশ’ ছবিতে কাজ করেছিলেন। বাঙালি দর্শকরা তাকে পছন্দ করতে থাকেন। তারপর তিনি শ্রীজিত মুখার্জির পরিচালনায়, এক যে ছিল রাজা,জুলফিকার,পোস্ত, রাজকাহিনী -র মতন অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। যীশু বহুদিন ‘সারেগামাপা’- তে সঞ্চালকের কাজ করেছেন। বর্তমানে তাকে স্টার জলসার ‘ডান্স ডান্স জুনিয়র’ এ সঞ্চালকের ভূমিকাতে দেখা যায়।
যিশু সম্প্রতি বলিউডে পা রেখেছেন। সেখানে তার অভিনয় দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছে। তিনি বলিউডে মর্দানি,মর্দানি ২, শকুন্তলা দেবী,সড়ক ২,বরফি সহ আরো অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। যীশুর স্ত্রী নিজেও একজন অভিনেত্রী। যীশু অঞ্জনা ভৌমিকের বড় মেয়ে নীলাঞ্জনার সাথে ২০০৪ সালে বিবাহ করেন।
কিছু বছর আগে তাদের দুজনকে একসাথে স্টার জলসায় ‘অপরাজিত’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে নীলাঞ্জনা অভিনয় জগত থেকে সরে যান। নিজের দুই মেয়েকে নিয়ে সুখে সংসার করতে থাকেন। যীশুর মেয়ে সারা এবং যীশু শ্রীজিত মুখার্জির ছবি ঊমা তে কাজ করে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।।